আটগ্রাম

বাংলাদেশের সিলেট জেলার জকিগজ্ঞ উপজেলার, ইছামতি পরগণার, আটগ্রাম মৌজার, কাজলশাহ ইউনিয়নের অত্যন্ত সুন্দর ও সবুজ ঘেরা একটি গ্রাম হলো চারিগ্রাম, আটগ্রাম। এই আটগ্রামের বিশাল ইতিহাস জুড়ে রয়েছে চৌধুরী পরিবারের অসাধারণ সব ভূমিকা। আটগ্রামের উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দূর করার জন্য চৌধুরী পরিবার কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝা মাঝির দিকে পিতা দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরীর সাথে আটগ্রাম এসে বসতি স্থাপন করেন অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা)।

আটগ্রামের জনসাধারণের সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে তৈরী করেন, বাসস্থান, বড় দীঘি, তিনটি গম্বুজ ও দশটি মিনার বিশিষ্ট মসজিদ, রাস্তাঘাট, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বাজার সহ আরো অনেক কিছু। তাঁরা ছিলেন বিপুল পরিমাণ জমির মালিক এবং তাঁদের জমিদারি কানাইঘাট, জকিগজ্ঞ ও করিমগজ্ঞের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত ছিল। দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) সহ চৌধুরী বংশের অনেকেই আটগ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজেদের অবদান রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আটগ্রামের ইতিহাস এবং চৌধুরী পরিবারের বংশ পরম্পরার ইতিহাস তুলে ধরা হলো।


আটগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের বংশ পরম্পরার ইতিহাসঃ
প্রথম প্রজন্মঃ

দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা)

চারিগ্রাম, আটগ্রাম হলো বাংলাদেশের সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার, ইছামতি পরগণার, আটগ্রাম মৌজার, কাজলশাহ্ ইউনিয়নের অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) এবং উনার পিতা দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরী আটগ্রাম এসে বসতি স্থাপন করেন। দৃষ্টিনন্দন তিনটি গম্বুজ ও দশটি মিনার দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন। বাসস্থান তৈরীর পাশাপাশি যাবতীয় সুযোগ সুবিধার মহাপরিকল্পনাও গ্রহণ করেন; মসজিদের সামনে বিশাল দীঘি এবং বাড়ীর ভিতরে বিশাল পুকুর খনন করান। এছাড়া থাকার ঘর, দালান, টঙ্গীঘর, মসজিদ, গোরস্থান, স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ডাকবাংলো, পোস্ট অফিস, বাজার সহ রাস্তাঘাট তৈরীর কাজ শুরু করান এবং ধারাবাহিক ভাবে দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরী, দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) এবং দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী সাহেব যাবতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। তাঁরা বিপুল পরিমান জমির মালিক ছিলেন এবং তাঁদের জমিদারি কানাইঘাট, জকিগজ্ঞ ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত ছিল।

সতের শতকের শেষ দিকে সম্রাট আলী গওহর শাহ্ আলমের রাজত্ব কালে রাজা বিজয় নারায়ণ সিংহ কর্তৃক দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরীকে “কানাইঘাট তহশীল কাছারীর” অন্তর্ভূক্ত পরগণা সমূহের রাজস্ব আদেশের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ছিলেন যথেষ্ট সৎ এবং উদার। তার এই উদারতা এবং সততার জন্য পরবর্তিতে তাঁকে “দেওয়ান” পদে ভূষিত করে সনদ প্রদান করা হয়। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব মহাগৌরবের সাথে ১৭৯৩ সাল পর্যন্ত পালন করেন। পরবর্তিতে দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরী এই অন্চলের এক প্রভাবশালী প্রজাহিতৈষী জমিদার হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করেন।

আঠার শতকের প্রথম দিকে দেওয়ান শাহ্ মুহাম্মদ চৌধুরী এবং তাঁর একমাত্র পুত্র দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) কানাইঘাট থানার মূলাগুল থেকে আসাম প্রদেশের করিমগঞ্জ জেলার, বদরপুর থানার, চাপঘাট পরগণার, দেওরাইল মৌজার “ওমরপুর” গ্রামে এসে সর্ব প্রথম বসবাস শুরু করেন। দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) ‘র এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী।
২। জসিমুননেছা খাতুন চৌধুরী।
৩। নাসিমুননেছা খাতুন চৌধুরী।
৪। হাকিমুননেছা খাতুন চৌধুরী।

প্রথম কন্যা: জসিমুননেছা খাতুন চৌধুরী। তিনির প্রথম বিয়ে হয় দেওরাইল (দক্ষিণ বাড়ী) নিবাসী মুহাম্মদ মুজাফফর চৌধুরীর নিকট। তাঁর স্বামীর অকাল মৃত্যু হলে দ্বিতীয় বিয়ে হয় ভারতের আসাম প্রদেশের, করিমগঞ্জ জেলার, সদর থানার, সাদীমাপুর পরগণার, ঐতিহ্যবাহী লাফাশাইল (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী মুহাম্মদ দাঈম চৌধুরী (দুনা মিয়া) সাহেবের পুত্র আব্বাস আলী চৌধুরী (খামার মিয়া) ‘র সাথে। তাঁহাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিলেন।

১। গৌস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। তিনি ছিলেন নি:সন্তান।
২। গিয়াস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৩। আজ্ঞুমননেছা চৌধুরী।

দ্বিতীয় কন্যা: নাসিমুননেছা খাতুন চৌধুরী। তাঁহার বিয়ে হয় সিলেট জেলার, গোলাপগঞ্জ উপজেলার, বরায়া পরগণার, ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়ী গ্রামের (উচাবাড়ী) নিবাসী মুহাম্মদ কামিল চৌধুরীর পুত্র মুহাম্মদ মোকাররম চৌধুরী সাথে। তাঁদের পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী।
২। জাফর আলী চৌধুরী।
৩। জমশেদ আলী চৌধুরী।
৪। ইসরাঈল আলী চৌধুরী।
৫। মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
৬। জুবেদা খাতুন চৌধুরী।
৭। মাজিদা খাতুন চৌধুরী।

তৃতীয় কন্যা: হাকিমুননেছা খাতুন চৌধুরী। তিনি খুব অল্প বয়সে মারা যান।

দেওয়ান এহসান রাজা চৌধুরী (ইসন রাজা) ছিলেন একজন খোদাভীরু ও প্রজাহিতৈষী জমিদার। তিনি ছিলেন বিশাল ভূসম্পত্তির অধিকারী এবং তাঁর জমিদারি এলাকা কানাইঘাট, জকিগজ্ঞ ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন অন্চলে বিস্তৃত ছিল। আজও লোকমুখে ইসন রাজার গুণকীর্তনের কথা শুনা যায়। তিনি তার নির্মিত দালান থেকে ন্যায় বিচারের আদালত পরিচালনা করতেন।

তিনি ১৮৭২ সালে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মরদেহ আটগ্রাম জমিদার বাড়ীর পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।


দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী (২য় প্রজন্ম)

দেওয়ান এহসান রাজা (ইসন রাজা) চৌধুরী‘র পুত্র দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী। তাঁহার পিতার মৃত্যুর পর তিনি জমিদারির হাল ধরেন এবং পিতার মহাপরিকল্পনার যাবতীয় অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করে বাড়ীকে তাঁর রাজ প্রাসাদ হিসাবে গড়ে তুলেন। পরিবারের বসতি দুই নাম দ্বারা পরিচিত হয়ে ওঠে; "সাজিদ রাজা'র বাড়ী" এবং "বড়বাড়ী"। দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী সাহেব তাঁর পিতার নির্মাণ করা "দালান" থেকে ন্যায় বিচারের আদালত পরিচালনা করতেন। দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী কানাইঘাট, জকিগজ্ঞ এর আশপাশ শাসন করতেন। প্রজাদের দেখাশুনা করার জন্য কাঠ দ্বারা নির্মিত গাড়ী ও হাতিতে সওয়ার হয়ে পুরা এলাকা ঘুরে বেড়াতেন। তিনি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গ্রামে বিশাল এলাকা দান করেছিলেন এবং বিভিন্ন মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজটিও অন্তর্ভুক্ত করেছেন:

১। প্রাথমিক বিদ্যালয়
২। মাদ্রাসা
৩। হাসপাতাল
৪। ডাকঘর
৫। পুকুর ২ টি (একটি গ্রামের উত্তর দিকে স্কুলের পাশে এবং অন্যটি গ্রামের দক্ষিন-পশ্চিম দিকে গোরস্থানের পাশে, দীঘিটি বর্তমানে “রুফই দীঘি” নামে পরিচিত)।
৬। বাজার
৭। ডাকবাংলো (১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত হয়)।
৮। গ্রামের সকল প্রধান ভবন গুলিতে সহজে যাতায়াতের জন্য অভ্যন্তরীণ সড়ক তৈরী করেন।
৯। একটি পারিরবারিক গোরস্থান এবং গ্রামবাসীর জন্য তিনটি গোরস্থান করেন।

বাড়ীর ভিতর বসবাসের জন্য অনেক গুলো ঘর ছিল যা ছনের চাল ও কাঠ দিয়ে তৈরী ছিল। তাঁহার ভাগ্না মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী সাহেব মসজিদের পশ্চিমে দৃষ্টিনন্দন তেরো চাল বিশিষ্ট এবং কাঠের কারুকার্য মন্ডিত খুব সুন্দর একটি বাংলো নির্মাণ করেছিলেন। এক কক্ষের এই বিশাল বাংলোটি বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই বাংলোয় এক সময় মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজা সহ জমিদারদের আড্ডা বসতো। বর্তমানে এই ঘর কালের সাক্ষী হয়ে আছে। এখনও লোকে এই ঘরকে “তেরো চালি ঘর” বা “টঙ্গীঘর” বলে থাকে।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন, ভারতের আসামে একটি বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং দালানে ফাটল হয়! ইমারতটি চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তখনকার সময় বিল্ডিং মেরামতের জন্য প্রযুক্তিগত তেমন সুবিধা না থাকায় কেহ দালানটি মেরামত করার চেষ্টা করেননি। মসজিদ এবং দালান একই সময়ের তৈরী কিন্তু সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার অশেষ কৃপায় মসজিদ সম্পূর্ণরূপে অক্ষত ছিল। এখনও এই মসজিদে মুসল্লিরা নিয়মিত সালাত আদায় করছেন।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে মনজুর আহমদ চৌধুরী দীঘি পুন খনন এবং মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেন, যা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা সমর্থিত ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, দীঘি এখন তার পূর্বের গভীরতায় ফিরে এসেছে এবং মসজিদটি তার পূর্বের মহিমাতে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

১৮৯৭ সাল থেকে দালানটি পরিত্যক্ত থাকার পর বর্তমানে (২০২৩ সাল) শাহেদ আহমদ চৌধুরী দালানটির সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। আশাকরি নিকট ভবিষ্যতে কাজ শেষ হলে দালানটি অতীতের অবস্থানে ফিরে যাবে। শতাধিক বছরের পুরনো এই রাজবাড়ীর দৃষ্টিনন্দন সাদা মসজিদ, দালান ও বাংলো দেখার জন্য দূরদুরান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন দর্শনার্থীরা আসেন।

দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী বিবাহ করেন করিমগঞ্জ জেলার, সদর থানার, কুশিয়ারকুল পরগণার, কর্ণমধু (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী গোলাম ইউসুফ চৌধুরী সাহেবের কন্যা বেগম মাজিদা বানু চৌধুরীকে। উল্লেখ্য গোলাম ইউসুফ চৌধুরীর অপর কন্যা বেগম সাজিদা বানু চৌধুরীর বিবাহ হয় সুনামগন্জ জেলার, সদর উপজেলার, লক্ষণশ্রী পরগণার, তেঘরিয়া (সাহেব বাড়ী) নিবাসী জমিদার দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরীর পুত্র বিখ্যাত মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরীর নিকট। সেই সম্পর্কে সাজিদ রাজা ও হাসন রাজা ছিলেন আপন ভায়রা ভাই। আত্মীয় হিসাবে হাসন রাজা প্রায়শ আটগ্রাম (বড় বাড়ী)’তে আসা যাওয়া করতেন। দেওয়ান হাসন রাজা ও দেওয়ান সাজিদ রাজা এই দালানে একান্ত সময় কাটাতেন।

দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী বিয়ে করেন মোট চারটি কিন্তু বাকী স্ত্রীগণের পরিচয় পাওয়া যায়নি তবে উনারা সকলই ছিলেন নি:সন্তান বিধায় জমিদারি রক্ষার স্বার্থে যোগ্য উত্তরাধিকার হিসাবে তিনি তাঁর আপন দুই ভাগ্নাকে আটগ্রামে স্থায়ীভাবে নিয়ে আসেন। ভাগ্নাদ্বয় ছিলেন, ফুলবাড়ীর মুহাম্মদ মোকররম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী ও দেওরাইলের আব্বাস আলী চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র গিয়াস উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরী সাহেব ইন্তেকালের পূর্বে তাঁর সম্পত্তি দেওয়ান মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী ও দেওয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে উত্তরাধিকারী হিসেবে দিয়ে যান।

১৯০৩ সালে দেওয়ান সাজিদ রাজা চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান ঘটে এবং তাঁকে বাড়ীর পারিবারিক গোরস্থানে পিতার পাশে সমাহিত করা হয়।


দেওয়ান মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী (৩য় প্রজন্ম)

মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী, পিতা মুহাম্মদ মোকররম চৌধুরী, ফুলবাড়ী, উচাবাড়ী। তাঁহারা পাঁচ ভাই ও দুই বোন ছিলেন।

১। মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী।
২। জাফর আলী চৌধুরী।
৩। জমশেদ আলী চৌধুরী।
৪। ইসরাঈল আলী চৌধুরী।
৫। মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
বোন: ১। জুবেদা খাতুন চৌধুরী। তাঁর বিবাহ হয় সিলেট জেলার, গোলাপগন্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আমুড়া (পুরানবাড়ী) নিবাসী আব্দুল আজিম চৌধুরী সাহেবের পুত্র ইজ্জাদ আলী চৌধুরী সাহেবের সহিত।
বোন: ২। মাজিদা খাতুন চৌধুরী তাঁর বিবাহ হয় সিলেট জেলার, গোলাপগন্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘোগারকুল, ফটাউলি, নিবাসী আব্দুল আলিম চৌধুরী (আখলু মিয়া) সাহেবের পুত্র আব্দুস শহীদ চৌধুরী (কটু মিয়া) সাহেবের সহিত।

মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী কিশোর বয়সে ফুলবাড়ী থেকে মামার কাছে আটগ্রাম চলে আসেন এবং তিনি তাঁর পিতা-মাতার কাছ থেকে (ফুলবাড়ী’র) উত্তরাধিকার সম্পত্তি গ্রহণ করেননি।

মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী প্রথম বিবাহ করেন করিমগঞ্জ জেলার, বদরপুর থানার, চাপঘাট পরগণার, দেওরাইল মৌজার, ওমরপুর (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী জমিদার আব্বাস আলী চৌধুরী সাহেবের কন্যা অর্থাৎ আপন খালাতো বোন আন্জুমুননেছা চৌধুরীকে এবং তাঁহাদের চার পুত্র এবং তিন কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। দেওয়ান ফৈয়াজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (কিশোর বয়সে মারা যান)।
২। দেওয়ান আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৩। দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৪। দেওয়ান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৫। আফছারী খানম চৌধুরী। তাঁর বিয়ে হয় করিমগঞ্জ জেলার, বদরপুর থানার, চাপঘাট পরগণার বিখ্যাত (জমিদার বাড়ী) মহাকল নিবাসী জমিদার দেওয়ান গোলাম জিলানী চৌধুরীর পুত্র দেওয়ান গোলাম রব্বানী চৌধুরীর ছেলে মৌলভী দেওয়ান আব্দুস সামাদ চৌধুরীর সহিত। তাঁদের কোন সন্তান ছিল না।
৬। আফছারুননেছা খাতুন চৌধুরী। (মৃত্যু ০৯/০৭/১৯৬৮ সাল, ২৫ আষাঢ় ১৩৭৫ বাংলা মঙ্গলবার)। তাঁহার বিয়ে হয় আমুড়া (পুরান বাড়ী) নিবাসী ইজ্জাদ আলী চৌধুরী সাহেবের পুত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী (তাজ্জুব মিয়া) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১০/০৮/১৯৪৫ সাল, ২৬ শ্রাবণ ১৩৫২ বাংলা শুক্রবার)।
৭। আখতারী খাতুন চৌধুরী (সমু)। (মৃত্যু ১৯/১১/১৯৯৬ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় ফুলবাড়ী (টিলাবাড়ী) নিবাসী মাহবুবুল কাদির চৌধুরী (মুবই মিয়া) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৬/০৪/১৯৮৯ সাল)।

মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরীর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন মৌলভীবাজার জেলার, বড়লেখা উপজেলার, শাহবাজপুর পরগণার, ঐতিহ্যবাহী ভোগা (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী জমিদার গুটাই মিয়া চৌধুরী (ডাক নাম) সাহেবের কন্যা সালমা খাতুন চৌধুরীকে (সালই)। এই পক্ষে ছিলেন তাঁদের এক মাত্র কন্যা:

১। আফতারা খাতুন চৌধুরী। (মৃত্যু ১৪/০৬/১৯৮২ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় ফুলবাড়ী (উচাবাড়ী) নিবাসী মুবীন উদ্দিন চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৯/০৬/১৯৮৬ সাল)। তাঁহাদের কোন সন্তান ছিল না।

দেওয়ান মুহাম্মদ মখদুম চৌধুরী ১৯১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।


দেওয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (৩য় প্রজন্ম)

গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (মেখাই মিয়া), পিতা আব্বাস আলী চৌধুরী (খামার মিয়া), লাফাশাইল (চৌধুরী বাড়ী), দেওরাইল, বদরপুর, করিমগজ্ঞ। তিনি বিবাহ করেন সিলেট জেলার গোলাপগজ্ঞ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পূর্বভাগ (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী মৌলভী মুহাম্মদ ইদ্রিস চৌধুরী সাহেবের কন্যা মিসবাহুননেছা চৌধুরীকে। তাঁদের দুই পুত্র ও দুই কন্যা ছিলেন।

১। দেওয়ান মতিন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
২। দেওয়ান মহি উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৩। ওয়াছিমুননেছা চৌধুরী (আছই)। তিনির বিয়ে হয় দেওরাইল নিবাসী রফিকুর রেজা চৌধুরী (১৮৯৩ - ১৯২১) সাহেবের সহিত। তিনির স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর মরহুম স্বামী রফিকুর রেজা চৌধুরীর ছোট ভাই নাইমুর রেজা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। (মৃত্যু ০৪/০২/১৯৮৯ সাল)।
৪। কছিমুননেছা চৌধুরী (কছই)। তাঁহার বিয়ে হয় পিল্লাকান্দি, জকিগজ্ঞ নিবাসী সিরাজুল হক চৌধুরী (টেকই মিয়া) সাহেবের সহিত।

গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (মেখাই মিয়া) সাহেব তাঁর পিতামহীর সম্পত্তি উত্তরাধিকার পরিচালনা করেন তিনি আটগ্রাম এবং দেওরাইল উভয় স্থানে বসবাস করেন।


দেওয়ান মতিন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (৪র্থ প্রজন্ম)

মতিন উদ্দিন আহমদ (১০/০৬/১৯০০ - ০৩/০৭/১৯৮০)। তিনি বিবাহ করেন করিমগঞ্জ জেলার, সদর থানার, সাদীমাপুর পরগণার, ঐতিহ্যবাহী লাফাশাইল (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী ওয়াতির আলী চৌধুরী সাহেবের কন্যা লুৎফুন্নেছা খানম চৌধুরীকে। তাঁহাদের এক পুত্র ও সাত কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। মনজুর আলম আহমদ (ক্যারল)।
২। ফরিদা চৌধুরী (ইভা)। স্বামী গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। বালাউট (পুরানবাড়ী)।
৩। নিবু চৌধুরী।
৪। খালেদা খান (জেবা)।
৫। পান্না চৌধুরী (পানু)।
৬। ঈরা চৌধুরী।
৭। ফাউজিয়া আহমদ (নাজু)।
৮। বারু চৌধুরী।


দেওয়ান মহি উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (৪র্থ প্রজন্ম)

মহী উদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রথম বিয়ে করেন রামপাশা (জমিদার বাড়ী) দেওয়ান আজিজুর রাজা চৌধুরী সাহেবের কনিষ্ঠ কন্যা রওশন বানু চৌধুরীকে (ফলক)। এই স্ত্রীর দিক থেকে দুই কন্যা ছিলেন।

১। রেবা চৌধুরী। (মৃত্যু ০৮/০১/২০১৪ সাল, সুনামগজ্ঞ)। স্বামী রফিকুল বারী চৌধুরী, বীরগাঁও, সুনামগজ্ঞ।
২। সেবা চৌধুরী। স্বামী বজলুল করিম চৌধুরী, কুমিল্লা।

প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিবাহ করেন করিমগঞ্জ জেলার, সদর থানার, সাদীমাপুর পরগণার, ঐতিহ্যবাহী লাফাশাইল (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী ছাতির আলী চৌধুরী (দারোগা) সাহেবের কন্যা সায়রা খানম চৌধুরীকে (টুনী)। তাঁহাদের এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। (মৃত্যু ২৭/০৮/২০১১)।
২। দিপু চৌধুরী। (মৃত্যু ২৬/০৯/২০২১)।
৩। মনি চৌধুরী।
৪। খুকু চৌধুরী।
৫। অদু চৌধুরী।
৬। বাবলী চৌধুরী।


দেওয়ান আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (৪র্থ প্রজন্ম)

দেওয়ান আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রথম বিবাহ করেন ফুলবাড়ী (উচাবাড়ী) নিবাসী জাফর আলী চৌধুরী সাহেবের কন্যা অর্থাৎ তাঁহার আপন চাচাত বোন কনা বিবি চৌধুরীকে (ডাকনাম)। তাঁহাদের ৬ মেয়ে এবং এক পুত্র ছিলেন।

১। মাহমুদা খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ১২/০৭/১৯৪৯ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় ভাদেশ্বর নিবাসী তাহের আহমদ চৌধুরীর সহিত। মাহমুদা খানম চৌধুরীর মৃত্যু হলে তাহের আহমদ চৌধুরী তাঁর মরহুমা স্ত্রীর ছোট বোন আফিয়া খানম চৌধুরীকে বিয়ে করেন।
২। মলিকা খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ১১/১০/২০০১ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় রণকেলী, দক্ষিণবাগ নিবাসী আব্দুল মুকিত চৌধুরী (মুর্শিব মিয়া) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১৮/০৬/১৯৮৩ সাল)।
৩। হামিদা খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ১২/১২/২০০৬ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় সাবদলপুর, জালালপুর নিবাসী সদীদ উদ্দিন চৌধুরী (মামুন) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৯/০৭/২০০০ সাল)।
৪। আহমুদা খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ১৯/০৩/২০১১ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় বারহাল, বিলবাড়ী নিবাসী মঈন উদ্দিন চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ২৩/০২/১৯৬৫ সাল)।
৫। সিদ্দিকা খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ৩১/১২/১৯৬৪ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় দোহাল, বিয়ানীবাজার নিবাসী আবদুর রউফ চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১৮/১১/১৯৮৩ সাল)।
৬। আফিয়া খানম চৌধুরী, (মৃত্যু ১৫/০১/১৯৯৭ সাল)। তাঁহার বিয়ে হয় ভাদেশ্বর নিবাসী তাহের আহমদ চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৭/০১/২০০০ সাল)।
৭। মুহাম্মদ চৌধুরী (ময়না)।

দেওয়ান আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে করেন ঘোগারকুল, ফটাউলি, রণকেলী নিবাসী আব্দুস শহীদ চৌধুরীর কন্যা অর্থাৎ তাঁহার আপন ফুফুতো বোন আসমা খাতুন চৌধুরীকে (লেচু), (মৃত্যু ০১/০২/১৯৯৩ সাল, সিলেট)। তাঁহাদের একপুত্র ও এক মেয়ে ছিলেন।

১। আহমদ কবীর চৌধুরী (তৈমুর) ২। আম্বিয়া খানম চৌধুরী (বিয়ের পূর্বে মারা যান), মৃত্যু ৩০/১২/১৯৬৪ সাল।

দেওয়ান আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ১৮/১২/১৯৬২ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।


দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (৪র্থ প্রজন্ম)

দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রথম বিবাহ করেন ফুলবাড়ী (উচাবাড়ী) নিবাসী ইসরাঈল আলী চৌধুরী সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা আছিয়া খাতুন চৌধুরী অর্থাৎ তাঁহার আপন চাচাতো বোনকে। তাঁহাদের তিন কন্যা ও এক পুত্র ছিলেন।

১। হুমেদা খানম চৌধুরী। (মৃত্যু ০৭/১২/১৯৯১ সাল, ইসলামপুর, সিলেট)। তাঁহার বিবাহ হয় সিলেট জেলার, গোলাপগন্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আমুড়া পুরানবাড়ী, নিবাসী আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী (তাজ্জুব মিয়া) সাহেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (আছাব) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ২০/০৩/১৯৯৮ সাল, ইসলামপুর, সিলেট)।
২। আফিফা খানম চৌধুরী। (মৃত্যু ০৪/০৫/১৯৮১ সাল, ঢাকা)। তাঁহার বিবাহ হয় কানিশাইল, মাঝেরবাড়ী, নিবাসী আবুল উলা মুহাম্মদ চৌধুরী (তছই) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ২৩/০৭/১৯৮৫ সাল, ঢাকা)।
৩। আমেনা খানম চৌধুরী। (মৃত্যু ০১/০৪/১৯৯২ সাল, সিলেট)। তাঁহার বিবাহ হয় বাটইশাইল নিবাসী জিল্লুল হক চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১৯৬৭ সাল, বাটইশাইল, বারহাল, সিলেট)।
৪। আল্তাফ আহমদ চৌধুরী।

দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর মরহুমা স্ত্রীর ছোট বোন লুলুফা খাতুন চৌধুরীকে (লুলু) বিয়ে করেন। তাঁহাদের এককন্যা এবং চার পুত্র ছিলেন।

১। উবেদা খানম চৌধুরী (জেবু)। (মৃত্যু ১৫/১০/২০২৩ সাল, হাউজিং এষ্টেট, সিলেট)। তাঁহার বিবাহ হয় পূর্ব চাঁনশীর কাপন, বিশ্বনাথ নিবাসী আব্দুল মালিক চৌধুরী (মাখন মিয়া) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ২৫/০৫/১৯৯৪ সাল, রামসগেইট, কেন্ট, যুক্তরাজ্য)।
২। আওতাদ আহমদ চৌধুরী।
৩। আলবাব আহমদ চৌধুরী।
৪। সারওয়ার আহমদ চৌধুরী।
৫। ইকবাল আহমদ চৌধুরী।

দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিবাহ করেন করিমগঞ্জ জেলার, রফিনগর পরগণার, নিলাম বাজার মৌজার, ব্রাহ্মনশাসন (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী জমিদার আব্দুস সাত্তার চৌধুরী সাহেবের কনিষ্ট কন্যা খয়রুননেছা খানম চৌধুরীকে (খয়রু)। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর আমেরিকার পেটারসন (নিউজার্সি) শহরে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁহাকে পেটারসন গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। তাঁহাদের চার পুত্র এবং পাঁচ কন্যা ছিলেন।

১। নুরুননেছা খানম চৌধুরী (রাকা)। তাঁহার বিবাহ হয় সুনামগজ্ঞ জেলার হুসেনপুর নিবাসী আব্দুল হান্নান চৌধুরী (আফরাজ) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ২৮/০২/২০০৭ সাল), সিলেট।
২। সামসুন খানম চৌধুরী (চেমন)। তাঁহার বিবাহ হয় সিলেট জেলার দরগামহল্লা (মুফতি নয়াবাড়ী) নিবাসী মুফতি সাইফুদ্দিন আহমদ (মকসুদ) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০২/০৮/২০১০ সাল), পেটারসন, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
৩। মুহাম্মদ চৌধুরী (শিশু বয়সে ইন্তেকাল করেন)।
৪। ফরিদা খানম চৌধুরী। তাঁহার বিবাহ হয় সিলেট জেলার কানিশাইল (জামটিকর) নিবাসী আখলাক হুসেন কোরেশী (আকল) সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৯/০৮/২০০৫ সাল) এক্সিটার, যুক্তরাজ্য।
৫। সেগুপ্তা খানম চৌধুরী (সেবু)। তাঁহার বিবাহ হয় সিলেট জেলার রণকেলী দক্ষিণবাগ (লামারবাড়ী) নিবাসী মতিউর রহমান চৌধুরী (মসরু) সাহেবের সহিত।
৬। মনজুর আহমদ চৌধুরী।
৭। মুহাম্মদ মনসুর আহমদ চৌধুরী।
৮। ময়নুল আহমদ চৌধুরী।
৯। দিলারা খানম চৌধুরী। তাঁহার বিবাহ হয় আলিনগর পরগণার, টিকরপাড়া মৌজার কাউদিয়া (চৌধুরী বাড়ী) নিবাসী মিফতাউর রহমান চৌধুরী (লিটন) সাহেবের সহিত।

দেওয়ান জুবের উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ১২/১১/১৯৬৭ সালে বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে তাঁহার মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


দেওয়ান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (৪র্থ প্রজন্ম)

দেওয়ান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। তিনি বিবাহ করেন বাহাদুরপুর (পশ্চিম বাড়ী) নিবাসী নাজমুল ইসলাম চৌধুরী সাহেবের কন্যা মুসলিমা চৌধুরীকে। তাঁহাদের চারকন্যা ও দুই পুত্র ছিলেন।

১। মিনা চৌধুরী। (মৃত্যু ১৬/১১/২০০৬ সাল)। তিনির বিবাহ হয় পানিউমদা, হবিগজ্ঞ নিবাসী তফজ্জুল আম্বিয়া চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১২/১১/১৯৮৫ সাল)।
২। নিলম চৌধুরী। তিনির বিবাহ হয় বারহাল, বিলবাড়ী নিবাসী ডা: মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ০৬/০১/২০১৩ সাল)।
৩। সনম চৌধুরী। (মৃত্যু ১৪/০৬/২০১৬ সাল)। তিনির বিবাহ হয় অরমপুর, খসরুপুর নিবাসী সৈয়দ মামুন বখত্ সাহেবের সহিত। (মৃত্যু ১১/১২/২০০৯ সাল)।
৪। রুমিয়া চৌধুরী (রুমু)। (মৃত্যু ২৯/১২/১৯৮৩ সাল)। তিনির বিবাহ হয় পারকুল নিবাসী মাহবুবুর নবী চৌধুরী (আনোয়ার) সাহেবের সহিত।
৫। মোয়াজ্জম আহমদ চৌধুরী।
৬। আযম আহমদ চৌধুরী।

দেওয়ান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ০৬/০৪/১৯৬১ সালে চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং সিলেট দরগাহে হযরত শাহজালাল (রাঃ) গোরস্থানে দাফন করা হয়।


মুহাম্মদ চৌধুরী (ময়না) (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন মিরাপাড়া, ফুলবাড়ী নিবাসী মমতাজ চৌধুরীকে (বেগুন)। তাঁহাদের এক পুত্র এবং পাঁচকন্যা ছিলেন।

১। শাহরীন নাহার চৌধুরী (বাবলী)।
২। শাহীন চৌধুরী।
৩। জলি চৌধুরী।
৪। এমি চৌধুরী।
৫। তান্নী চৌধুরী।
৬। লিজা চৌধুরী।

মুহাম্মদ চৌধুরী (ময়না) ১৩/১২/১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।


আহমদ কবীর চৌধুরী (তৈমুর) (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন তাঁহার মামাতো বোন বুশরা খাতুন চৌধুরীকে, পিতা আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী (দুদ মিয়া), ঘোগারকুল, ফটাউলি, রণকেলী। তাঁহাদের এক পুত্র এবং তিন কন্যা ছিলেন।

১। সাদিয়া কবীর চৌধুরী (মনি)।
২। জিয়াউল কবির চৌধুরী (বাবু)।
৩। শাহনাজ কবীর চৌধুরী (এনি)।
৪। ফাহমিদা কবীর চৌধুরী (তিন্নি)।

আহমদ কবীর চৌধুরী (তৈমুর) ১৪/০৮/২০২১ সালে সিলেট মৃত্যুবরণ করেন এবং মানিক পীর সাহেবের গোরস্থানে দাফন করা হয়।


আল্তাফ আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন বালাউট, পুরানবাড়ী নিবাসী গোলাম মাহমুদ চৌধুরী (মাখই) সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা খয়রুন্নেছা চৌধুরীকে (রেহানা)। তাঁহাদের তিন পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। আফরিন চৌধুরী। (শিশু বয়সে মৃত্যু)।
২। আরিফ আহমদ চৌধুরী (তারেক)। স্ত্রী শেফা চৌধুরী।
৩। ছালেহ আহমদ চৌধুরী (বারেক)। স্ত্রী রাহানা চৌধুরী, মৌলভীবাজার।
৪। তাহমিনা চৌধুরী (শাম্মী)। স্বামী জয়নাল চৌধুরী, রণকেলী দক্ষিনবাগ।
৫। শাহেদ আহমদ চৌধুরী। স্ত্রী সৈয়দা তুহিন।

আল্তাফ আহমদ চৌধুরী ১৯/০৫/১৯৯৭ সালে সিলেট মৃত্যুবরণ করেন এবং সিলেট দরগাহে হযরত শাহজালাল (রাঃ) গোরস্থানে দাফন করা হয়।


আওতাদ আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন পূর্ব চাঁনশীর কাপন, বিশ্বনাথ নিবাসী আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী সাহেবের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার চৌধুরীকে। তাঁহাদের একপুত্র এবং তিন কন্যা সন্তান।

১। নাহিদ আহমদ চৌধুরী।
২। জিনাত আহমদ চৌধুরী।
৩। রাশেদ আহমদ চৌধুরী।
৪। ফারাহ আহমদ চৌধুরী।


আলবাব আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন কুমিল্লা নিবাসী সুরাইয়া চৌধুরীকে। তাঁহারদের এক পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তান ছিলেন।

১। লিপি চৌধুরী।
২। পলি চৌধুরী।
৩। মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।

আলবাব আহমদ চৌধুরী ২৯/১১/১৯৯১ সালে কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানে দাফন করা হয়।


সারওয়ার আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তিনি ১৬/০৭/২০২২ সালে বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে তাঁর ছোট ভাই ইকবাল আহমদ চৌধুরীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।


ইকবাল আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি অবিবাহিত ছিলেন। তিনি ৩১/১০/১৯৯০ সালে বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


মুহাম্মদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি শিশু বয়সে ইন্তেকাল করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।


মনজুর আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন অরমপুর, খসরুপুর নিবাসী সৈয়দ আনহার বখত্ সাহেবের দ্বিতীয় মেয়ে রেহানা খানম চৌধুরী-সৈয়দা কে। তাঁহাদের দুই পুত্র সন্তান।

১। ইশতিয়াক মুহাম্মদ চৌধুরী। স্ত্রী ইভানা চৌধুরী, পিতা গোলাম জাবির চৌধুরী (জাবু), রনকেলী দক্ষিনবাগ। তাঁহাদের একপুত্র ও এক কন্যা, নাম ইসমাইল মুহাম্মদ চৌধুরী ও ইনায়’য়া জান্নাহ্ চৌধুরী।
২। ইমতিয়াজ মুহাম্মদ চৌধুরী। স্ত্রী জাহারা জাবীন চৌধুরী-শেখ, রেডিং, যুক্তরাজ্য। তাঁহাদের একপুত্র ও এক কন্যা, নাম ঈসা ইবন ইমতিয়াজ শেখ চৌধুরী ও ঈমান ইয়াসমিন চৌধুরী।


মুহাম্মদ মনসুর আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন শেখপাড়া, সিলেট নিবাসী সমিউর রহমান চৌধুরী সাহেবের একমাত্র কন্যা খুরশীদ জাহা চৌধুরীকে (জুয়েলী)। (মৃত্যু ২২/১১/২০১৩ সাল, পেটারসন, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র। তাঁহাদের ছিলেন এক পুত্র এবং দুই কন্যা।

১। নওশিন আজ্ঞুম চৌধুরী।
২। নুযাত আজ্ঞুম চৌধুরী।
৩। মাহির মুহাম্মদ চৌধুরী।


ময়নুল আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন ধরাধরপুর, সিলেট নিবাসী সৈয়দ গোলাম মোস্তফা সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা সৈয়দা গুলবাহারকে (রুমানা)। তাঁহাদের এক পুত্র।

১। মারজান মুহাম্মদ চৌধুরী।


মোয়াজ্জম আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি বিয়ে করেন টিকরপাড়া, ফুলবাড়ী নিবাসী ফৈজুর রহমান চৌধুরী সাহেবের মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন চৌধুরীকে। তাঁহাদের দুই কন্যা।

১। আজমা আহমদ চৌধুরী। স্বামী ফেরদৌস কবীর, গোপালগঞ্জ।
২। নাঈমা আহমদ চৌধুরী। স্বামী এজারুল ভূঁইয়া, নোয়াখালী।


আযম আহমদ চৌধুরী (৫ম প্রজন্ম)

তিনি অবিবাহিত ছিলেন এবং ০২/০৯/১৯৭৯ সালে লন্ডনে ইন্তেকাল করেন এবং সিলেট দরগাহে হযরত শাহজালাল (রাঃ) গোরস্থানে দাফন করা হয়।